সেবা ঘর (Help House) সবার মুখে এ যেন এক ভালোবাসার নাম। এ যুগে সবাই নিজেকে নিয়ে টিকে থাকার লড়াই পিছিয়ে আছে এক বৃহত্তর জনগোষ্ঠী! যাদের 'বেকার' বলে সম্বোধন করা হয়। অনেকেই চেষ্টা করেছেন বেকারত্ব দূরীকরণে সহয়তা করতে। কেও নিজে উদ্যোগ নিয়েছেন আবার কেও কেও সম্মিলিত ভাবে। ঠিক এরমধ্যে একটি জনপ্রিয় সংগঠন যার নাম সেবা ঘর। ২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল অস্ট্রেলিয়ার সিডনি প্রবাসী Wahid Uzaman এর হাত ধরে তীলে তীলে গড়ে উঠেছে এই সংগঠনটি। ইতিমধ্যে বহু মানবিক কাজের মাধ্যমে সংগঠনটি মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন। Wahiduzzaman পেশায় একজন সেচ্ছাসেবক। তিনি কাজ করছেন বিভিন্ন সামাজিক প্লাটফর্মে। তিনি যখন দেখেছেন অধিকাংশ সেচ্ছাসেবী আর্থিক ভাবে অসচ্ছল ঠিক তখনই তাদের জন্য কিছু করার প্রয়াসে সেবা ঘর তৈরির চিন্তা মাথায় আনেন। সংগঠন শুরু করার সময়ই পাশে পেয়ে যান আরো কয়েকজন দায়িত্বশীল এদের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য Md. Jewel Ahmed এম ডি ইমামুল ইসলাম HM Ridwan Ansari Ahammad Sohel Shahanaz Parveen Tuktuk Farzana Lucky Sohan Mahmud Shohel Umme Hany বায়েজিদ হোসেন Sohan Mahmud Shohel শিক্ষাগত যোগ্যতা ও কারিগরি দক্ষতার ভিত্তিতে সেবা ঘর চেষ্টা করে ভাল একটি চাকুরী পাইয়ে দিতে। কোনো প্রতিষ্ঠান চাকুরির বিজ্ঞপ্তি দিলে সেবা ঘর প্রর্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেয়। একত্রে নেই কোন আর্থিক লেনদেন কিংবা সুপারিশ। গত তিন বছরে প্রায় আড়াই হাজার যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থান হয়েছে সেবাঘরের মাধ্যমে। দেশের গন্ডি পেরিয়ে বাহরাইন, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ মধ্যেপ্রচ্যের কয়েকটি দেশ এবং অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতেও সেবা ঘরের কার্যক্রম পরিচিত হচ্ছে সফলভাবে। কেবল চাকুরির পিছে না ছুটে উদ্যোক্তা হতে তরুনদের আগ্রহী করে তুলতেও সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছে এই ভিন্নধর্মী সংগঠনটি। শাহনাজ পারভীন টুকটুক, ফারজানা লাকী ও উম্মে হানীরা উদ্যোক্তা তৈরিতে রাখছেন অগ্রনী ভুমিকা। তাছাড়া ২০১৯ সালের ঈদুল আজহায় সেবা ঘর প্রায় ৫০০ সেচ্ছাসেবীর পরিবারে কুরবানির মাংস বিতরণ করে। বিজয়ের মাস থেকে দেশের সকল জেলায় সংগঠনটি তাদের প্রতিনীধি নিয়োগ দিবে। যাদের কাজ হবে সঠিক কর্মসংস্থানের সন্ধান এবং সমন্বয় সাধন করা।
আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি এমন একটি সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকতে পেরে।
No comments:
Post a Comment