Date
পৃষ্ঠাসমূহ
শিরোনাম
Saturday, December 30, 2017
Wednesday, December 27, 2017
Monday, December 25, 2017
কচুয়া উপজেলা প্রতিষ্ঠা ও নামকরনের রহস্য জানেন কি?
শরীফুল ইসলাম আরশ ।। সূচিপত্র নিউজ ।। আসো আমাদের ইতিহাসকে জানি।।
"কচুয়া ভরপুর জলে ও স্থলে, সোনার মানুষ আর সোনা ফলে"। কচুয়া থানার কচুয়া নামকরণের সঠিক তথ্য পাওয়া না গেলেও জনশ্রুতি হিসেবে তথ্য পাওয়া যায়। প্রথমটি হচ্ছে সেনিটিক ভাষায় উপশহরকে কাচওয়া বলে। এই কাচওয়া শব্দ কালক্রমে লোকমুখে লোকান্তরিত হয়ে কচুয়া নামকরণ হয়।
দ্বিতীয়টি হচ্ছে ১৯০৫ সালে হাজীগঞ্জ থানাকে দুইটি ভাগে বিভক্ত করে
সীমানা/আয়তন নির্ণয়ের জন্য জরিপ কাজ চালানো হয়। একজন পুলিশ কর্মকর্তার
নেতৃত্বে এই জরিপ কাজ পরিচালিত হয়। জরিপ কাজ শুরু হয় দাউদকান্দি থানার
দক্ষিণ সীমানা অর্থাৎ কচুয়া থানার উত্তর প্রান্ত থেকে। জরিপ কাজে এক
পর্যায়ে কাজে নিয়োজিত পুলিশ কর্মকর্তাও অন্যান্য লোকজন বর্তমানে কচুয়া
বাজার সংলগ্ন উত্তর পার্শ্বে গ্রামের দক্ষিণের অংশে এসে কয়েকটি তালগাছের
সন্ধান পেলে তালগাছ এলাকার উচুঁ স্থানে তাবু খাটিয়ে কয়েকদিন অবস্থান করেন
(এ স্থান এলাকা বর্তমানে ধলিকচুয়া নামে পরিচিত) এ গ্রামের জৈনক মোঃ আলী
আকমত পুলিশ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসা করেন আপনাদের জরিপ কাজ কতটুকু হয়েছে।
উত্তরে পুলিশ কর্মকর্তা বলেন "কুচহুয়া"। উর্দু শব্দ কুচ মানে কিছু এবং
হুয়া মানে হয়েছে। অর্থাৎ কিছু অংশ হয়েছে। এ "কুচহুয়া" শব্দ হতে কচুয়া নাম
করণ হয়।
চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলা ১২টি ইউনিয়ন নিয়ে ১৯১৮ সালের ২৫ জানুয়ারী
প্রতিষ্ঠা হয়। ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর আমলে কচুয়া দাউদকান্দি থানার
অর্ন্তভূক্ত ছিল। মহা রাণী ভিক্টোরিয়ার রাজত্ব কালে কচুয়া থানা ছিল
হাজীগঞ্জ থানার অন্তরভূক্ত। সম্রাট পঞ্চম জর্জের আমলে অর্থাৎ ১৯১৮ সালের
২৫শে জানুয়ারী তারিখে হাজীগঞ্জ হতে পৃথক হয়ে কচুয়া থানা প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
সূত্র: বাংলাদেশ তথ্য বাতায়ন
Thursday, December 21, 2017
অন্তত মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেনের কথাটি আমলে নিন
সূচিপত্র, সম্পাদকীয় মতামত :
রণাঙ্গনের এই মুক্তিযোদ্ধা স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তাকে (ইউএনও) চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, মৃত্যুর পর যেন তাঁকে রাষ্ট্রীয়
মর্যাদা দেওয়া না হয়। তিনি লিখেছেন, যেখানে হাজার হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা
যাচাই-বাছাইয়ের নামে তালিকায় নাম ঢুকিয়ে রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা হাতিয়ে
নিচ্ছেন, সেখানে তিনি মৃত্যুর পর এই রাষ্ট্রীয় মর্যাদা নিতে পারেন না। একজন
মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাঁর বিবেকের তাড়না আছে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা যেখানে
বীর উপাধি পেয়ে যাচ্ছেন, সেখানে তিনি এই উপাধি ধারণ করতে পারেন না।
প্রকৃতপক্ষে সরকার যখন মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরির বয়সসীমা দুই
বছর বাড়িয়ে দিয়েছিল, তখনই ভুয়া সনদ নেওয়ার হিড়িক পড়ে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ধরাও পড়েছেন। ছয়জন সচিবও মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া সনদ নিয়ে
চাকরির বয়স বাড়িয়ে নিয়েছিলেন। পরে তদন্তে তাঁদেরসহ আরও অনেকের অপকীর্তি ধরা
পড়ে। এখনো প্রশাসনে এ রকম ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা কর্মরত আছেন বলে সংশ্লিষ্টরা
মনে করেন।
অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে গত ৪৬ বছরে আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের
একটি সঠিক তালিকা করতে পারিনি। যখন যে সরকার আসে, তারাই নতুন তালিকা তৈরির
উদ্যোগ নেয়। এ পর্যন্ত ছয়বার তালিকা তৈরি করা হয়েছে। আবার নতুন তালিকার
জন্য যাচাই-বাছাই চলছে। মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেনের মতো অনেকের আশঙ্কা, এই
যাচাই-বাছাইয়ের সুযোগে আরও অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত হবেন এবং
রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা রাষ্ট্রীয়
সুযোগ-সুবিধা নেবেন, তাতে দোষের কিছু নেই। কিন্তু ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সেজে
যদি কেউ নকল বীরের মর্যাদা ও তকমা নিতে চান, সেটা দেশ ও জাতির জন্য
লজ্জাজনক।
এর পাশাপাশি চলছে মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স কমানোর তৎপরতা।
সরকার ন্যূনতম বয়স ১৩ বছর নির্ধারণ করলেও সম্প্রতি একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী
সেটি আরও ছয় মাস কমানোর আবদার করেছেন। এ রকম অযৌক্তিক আবদার গ্রহণের কোনো
সুযোগ আছে বলে মনে করি না।
অতএব সরকারের কাছে আমাদের দাবি থাকবে, তারা যাতে অন্তত
মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেনের কথাটি আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়।
নিশ্চিত করতে হবে, তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের নামে একজন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাও যেন
তালিকাভুক্ত হতে না পারেন।
Subscribe to:
Posts (Atom)