শরীফুল ইসলাম আরশ || সূচিপত্রঃ
"কচুয়া ভরপুর জলে ও স্থলে, সোনার মানুষ আর সোনা ফলে"। কচুয়া থানার কচুয়া নামকরণের সঠিক তথ্য পাওয়া না গেলেও জনশ্রুতি হিসেবে তথ্য পাওয়া যায়। প্রথমটি হচ্ছে সেনিটিক ভাষায় উপশহরকে কাচওয়া বলে। এই কাচওয়া শব্দ কালক্রমে লোকমুখে লোকান্তরিত হয়ে কচুয়া নামকরণ হয়।
দ্বিতীয়টি হচ্ছে ১৯০৫ সালে হাজীগঞ্জ থানাকে দুইটি ভাগে বিভক্ত করে সীমানা/আয়তন নির্ণয়ের জন্য জরিপ কাজ চালানো হয়। একজন পুলিশ কর্মকর্তার নেতৃত্বে এই জরিপ কাজ পরিচালিত হয়। জরিপ কাজ শুরু হয় দাউদকান্দি থানার দক্ষিণ সীমানা অর্থাৎ কচুয়া থানার উত্তর প্রান্ত থেকে। জরিপ কাজে এক পর্যায়ে কাজে নিয়োজিত পুলিশ কর্মকর্তাও অন্যান্য লোকজন বর্তমানে কচুয়া বাজার সংলগ্ন উত্তর পার্শ্বে গ্রামের দক্ষিণের অংশে এসে কয়েকটি তালগাছের সন্ধান পেলে তালগাছ এলাকার উচুঁ স্থানে তাবু খাটিয়ে কয়েকদিন অবস্থান করেন (এ স্থান এলাকা বর্তমানে ধলিকচুয়া নামে পরিচিত) এ গ্রামের জৈনক মোঃ আলী আকমত পুলিশ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসা করেন আপনাদের জরিপ কাজ কতটুকু হয়েছে। উত্তরে পুলিশ কর্মকর্তা বলেন "কুচহুয়া"। উর্দু শব্দ কুচ মানে কিছু এবং হুয়া মানে হয়েছে। অর্থাৎ কিছু অংশ হয়েছে। এ "কুচহুয়া" শব্দ হতে কচুয়া নাম করণ হয়।
চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলা ১২টি ইউনিয়ন নিয়ে ১৯১৮ সালের ২৫ জানুয়ারী প্রতিষ্ঠা হয়। ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর আমলে কচুয়া দাউদকান্দি থানার অর্ন্তভূক্ত ছিল। মহা রাণী ভিক্টোরিয়ার রাজত্ব কালে কচুয়া থানা ছিল হাজীগঞ্জ থানার অন্তরভূক্ত। সম্রাট পঞ্চম জর্জের আমলে অর্থাৎ ১৯১৮ সালের ২৫শে জানুয়ারী তারিখে হাজীগঞ্জ হতে পৃথক হয়ে কচুয়া থানা প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
---
কচুয়ার ইতিহাস জানুনঃ https://youtu.be/4qFcuuFzapw
অসাধারণ ভাইয়া। তোমার জন্য সুভকামনা।
ReplyDelete