বর্ষার মৌসুমে গ্রামীন পরিবেশে প্রকৃতি তার মায়াবী সবুজ রুপ মেলে ধরে। বছরের এ সময়টাতেই অথৈজলে দেখা মেলে বাংলাদেশর জাতীয় ফুল শাপলার। বর্ষার মৌসুমে কচুয়া ও চান্দিনা উপজেলার গুড়গা বিলের লাল মসজিদ বা লাল ঘর কেন্দ্রকরে নৌভ্রমণে দর্শনার্থীদের ভিড় থাকে চোঁখে পড়ার মতো। তাদের উদ্দেশ্য নৌকাভ্রমণ, গন্তব্য লাল টিনের তৈরী ঘড় অর্থাৎ সুরোজ গেইট সংলগ্ন। আগত দর্শনার্থীদের সময়টা কাটে শাপলা তোলা, শাপলার ভর্তা, নুডলস, ও বিরিয়ানি খাওয়া এবং গান গাওয়া, ছবিতোলাসহ নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে। লাল মসজিদ নামে পরিচিত এই ঘরটি মুলত চান্দিনা উপজেলার ১০নং গল্লাই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল করিম। তৎকালিন সময়ে গুড়গা বিলের মাঝখানে কৃষকদের বিশ্রামের জন্য পাশাপাশি নামায আদায়ের জন্য তিনি ঘরটি লাল টিন এর আদলে তৈরী করেন। বর্তমানে ঘরটির ভিতরে নামায পড়া কিংবা বিশ্রাম নেওয়ার মতো পরিবেশ নেই বললেও চলে। আশে পাশে কোন দোকানপাট না থাকায় দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে এই ঘরটিতে ভ্রাম্যমান দোকান হিসেবে ব্যবহার করছেন গল্লাই ইউনিয়নের কংগাই গ্রামের মোঃ মেহেদি হাসান। তার ভাষ্যমতে যেহেতু বর্ষার সময় চলছে, তার মধ্যে ঈদের ছুটি। সবমিলে এখানে প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার এর মতো দর্শনার্থীর আগমন ঘটে। স্থানীয়রা মনে করেন এই ঘরকে কেন্দ্র করে এখানে যেহেতু বর্ষার মৌসুমসহ অন্যান্য সময়ে প্রচুর দর্শনার্থীর আসে, তাই এখানে সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে পর্যটনবান্দব পরিবেশ গড়ে তুললে কচুয়া ও চান্দিনার মানুষের বিনোদনের পাশাপাশি অনের দূরদূরান্তের মানুষের বিনোদনের যায়গা হয়ে উঠতে পারে এটি।
শরীফুল ইসলাম আরশ
অভয়পাড়া, কচুয়া, চাঁদপুর।
No comments:
Post a Comment